আমিনুল ইসলাম ঘাটাইল প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলে ৫১৮৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত

টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় সোমবার (৭ জুন) নতুন করে ২৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৫১৮৬ জনের দেহে করোনার ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় রবিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৫ হাজার ৫৪৫ জন। আর রবিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৯৯ হাজার ৫৩৭ জন। জেলার মোট ৪২টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৮৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৩৭, ঘাটাইলে ১০, মির্জাপুরে ৯, কালিহাতীতে ৭, দেলদুয়ার ৬, বাসাইলে ৪, ধনবাড়ীতে ৩, সখীপুরে ৩, ভুঞাপুরে ৩, গোপালপুরে ২, মধুপুরে ২ ও নাগরপুরে ২ জন রয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ঘাটাইলে ৯, টাঙ্গাইল সদরে ৭, কালিহাতীতে ৩, বাসাইলে ২, দেলদুয়ারে ১, সখিপুরে ১, ভূঞাপুরে ১ ও গোপালপুরে ১ জন রয়েছে। করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে দ্বিতীয় দফা ও বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সারাদেশ সহ টাঙ্গাইলে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। বুধবার (২১ এপ্রিল) থেকে আবারো কঠোর লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) থেকে আবারো লকডাউন বৃদ্ধি করা হয় বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে আবারো লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়, রবিবার (১৬ মে) থেকে আবারো লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়, সোমবার (২৪ মে) থেকে আবারো লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়, সোমবার (৩১ মে) থেকে আবারো লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়, সোমবার (৭ জুন) থেকে আবারো লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়েছে। লকডাউনের ৬৪তম দিন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১০২৭ জন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান টিনিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলায় ৫১৮৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ২১১৪, মির্জাপুরে ৬৯৭, কালিহাতীতে ৪০৩, ঘাটাইলে ৩১৮, মধুপুরে ২৮৬, সখীপুরে ২৭৩, ভূঞাপুরে ২৪২, দেলদুয়ারে ২১৩, ধনবাড়ীতে ১৮৬, গোপালপুরে ১৮৩, বাসাইলে ১৪১ ও নাগরপুরে ১৩০ জন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪২৭২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এরা হলেন- টাঙ্গাইল সদরে ১৬০১, মির্জাপুরে ৬৭০, কালিহাতীতে ৩০৮, মধুপুরে ২৭৫, সখীপুরে ২৬১, ঘাটাইলে ২৮০, ভূঞাপুরে ১৮৭, ধনবাড়ীতে ১৭৬, দেলদুয়ারে ১৪৯, গোপালপুরে ১৪০, নাগরপুরে ১১৩ ও বাসাইলে ১১২ জন।

এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেট ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ১৫ জন। এর মধ্যে ৩ জন আইসিইউ বেডে আর ১২ জন জেনারেল বেডে। গত বছরের (৮ এপ্রিল) জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। জেলায় গত বছরের এপ্রিল মাসে ২৪ জন, মে মাসে ১৪১ জন, জুন মাসে ৪৪৭ জন, জুলাই মাসে ১০২৬ জন, আগস্ট মাসে ৯৬৪, সেপ্টেম্বর মাসে ৫২৯, অক্টোবর মাসে ১৫২, নভেম্বর মাসে ২০৫, ডিসেম্বরে ২১৮, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৩৪, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ পর্যন্ত ২৭১ জন, এপ্রিল পর্যন্ত ৫৭৬ জন, মে পর্যন্ত ৩২৯ জন, এখন (৭ জুন) পর্যন্ত ১৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্র ঘাটাইলডটকম কে জানায়, ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে টাঙ্গাইলে ১২টি উপজেলায় একযোগে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। বুধবার (৭ এপ্রিল) করোনার টিকার দ্বিতীয় চালান জেলায় আসে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে করোনার টিকার ২য় ডোজ দেয়া শুরু হয়। গত (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দফায় টাঙ্গাইলে ১ লাখ ২০ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আসে। করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, সরকারি অন্যান্য সংস্থার সম্মুখসারির কর্মী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সরকারের অত্যাবর্শক্রীয় অন্যান্য এজেন্সির সদস্যরা করোনার টিকা পাবেন। পর্যায়ক্রমে ১৮ বছরের উপরে সকলেই টিকা পাবেন। ১৮ বছরের নিচে, গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী, গুরুত্বর অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তিকৃত ব্যক্তিরা টিকা পাবেন না। টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৯টি কেন্দ্র এবং ১১টি উপজেলার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি করে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি বুথে দুইজন করে টিকাদান কর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন।